বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটে হিমশিম খাচ্ছে সেবা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চারজনের স্থলে বেশির আপাতত উপস্থিত থাকেন একজন চিকিৎসক। এমনই তথ্য জানান উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. হুমায়ুন কবীর। উপজেলার প্রায় দেড় লাখ জনসংখ্যার চিকিৎসা সেবার ভরসাস্থল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসায় সুনাম অর্জন করলেও এখন তা ধরে রাখা যাচ্ছেনা বলে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. হুমায়ুন কবীর জানান, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সহ ২৮ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও কাগজপত্রে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন। কর্মরত ৪ জন চিকিৎসকের মধ্যে মেডিকেল কর্মকর্তা (ইউনানি) ডা. জাকিয়া সুলতানা রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষনে আছেন। এবং মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. অনন্যা পাল বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। একমাত্র গাইনী বিশেষজ্ঞ ডা. নাহিদা সিদ্দিকা নিয়মিত অফিস করেন। বাহির থেকে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার এনে প্রতি সপ্তাহের বুধবার সিজারিয়ান কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে। তিনি অফিস সময়ে রোগী দেখেন। হাসপাতালে আর কোন চিকিৎসক না থাকার কারণে নিজেই উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা এবং মেডিকেল অফিসারের সহ জরুরী বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক কাজের জন্য সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। এরপর ৫০ শয্যা হাসপাতালের বহিঃবিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও জরুরী বিভাগ চালানো মোটেও সম্ভব নয়।
ডা. হুমায়ুন কবীর আরো জানান, হাসপাতালে কোনো দিন ৮০ থেকে ৯০ জন রোগী থাকেন। এদের সামলাতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হয়। এ হাসপাতালে চিকিৎসক ছাড়াও ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারীর অনেক পদ শুন্য রয়েছে। হাসপাতালের সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসক সহ অন্যান্য শুন্য পদ পুরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বারংবার পত্র দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর কিছুটা সমাধান হবে। উপজেলার আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই মডেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ায় অনেকে হতবাক। তার দাবি হাসপাতালে চিকিৎসক সহ জনবল সংকট থাকায় পরিপূর্ণ সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দ্রুত আনুষঙ্গিক সমস্যার সমাধান হলে এখানে আধুনিকমানের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।